বিশ্ব খাদ্য দিবস : বিএডিসি ও খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ
এ এফ এম হায়াতুল্লাহ
মানুষ ও পুরো প্রাণীজগতের টিকে থাকার জন্য অক্সিজেনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খাদ্য। খাদ্য আমাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখে, শারীরিকে শক্তি প্রদান করে এবং খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শারিরীক ও মানসিক প্রশান্তি প্রদান করে অন্যান্য কার্যাবলি ও সেবাপ্রাপ্তিকে সুনিশ্চিত করে। এ জন্য আমাদের স্বাভাবিক আলোচনায় মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে সবার আগে স্থান পায় খাদ্য-তারপর বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা ও বিনোদন ইত্যাদি।
দুর্নীতি, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য-একটি দেশ ও জাতির উন্নতির পথে প্রধান তিনটি অন্তরায়। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণু’ (Zero tolerance) নীতি ঘোষণাপূর্বক দেশের কল্যাণমূলক নানা উদ্যোগ, কর্ম ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি কৃষক, মাঠ প্রশাসন ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণলায়-দপ্তর-সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ সমন্বয় ঘটিয়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্যকে যুগপৎ একই ফ্রেমে রেখে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকা-ের গর্বিত অংশীদার বিএডিসি।
এ বছর বিশ^ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন (Leave no one behind. Better production,better nutrition,a better environment and a better lifব)। প্রতিপাদ্য থেকে এটি স্পষ্ট, আমাদের আজকের কর্মকা-ই যে মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে সেটিকেই বোঝানো হয়েছে। একই সঙ্গে একটি টেকসই, কার্যকর, কল্যাণকর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের শুধু উৎপাদন করলেই চলবেনা, উৎপাদন প্রক্রিয়া যেন প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য ইতিবাচক হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করতে হবে। যদি আমাদের খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া ভালো হয় তবে আমাদের পরিবেশ উত্তম থাকবে, পরিবেশে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য থাকবে, বাস্তুসংস্থান সকল প্রাণের বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবে এবং আমরা উত্তম ও পুষ্টিকর খাদ্য পাবো। আর প্রতিপাদ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি ‘কেউ খাবে তো কেউ খাবেনা’ এমন পরিণতি মানবজাতির খাদ্যনিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এ কারণেই সকলকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়ার আবশ্যকতা থেকে যায়। আমরা সবাই জানি ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’ এবং এই কারণেই প্রকৃতিবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রাণপ্রকৃতিবান্ধব পরিবেশে উৎপাদিত পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের সবার জন্য একটি উত্তম ও সুখী জীবনব্যবস্থা দিতে পারে। এভাবে এবারে বিশ^ খাদ্য দিবস সমষ্টিক শান্তি ও সুখ লাভের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে উপস্থাপন করে।
কে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধু কৃষিকে দিয়েছিলেন সর্বাধিক গুরুত্ব। সেই মূলমন্ত্র ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয় তার সকল সংস্থা, দপ্তর নিয়ে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আবদুর রাজ্জাক এমপি এর নির্দেশনায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশে বিএডিসি বাংলাদেশের খাদ্য লড়াইয়ের অন্যতম অগ্রসেনা হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অভিলক্ষ্য ‘ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করা এবং জনসাধারণের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিরাপদ ও পুষ্টিকর ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে চলেছে বিএডিসি।
বর্তমানে সর্বোচ্চ পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহৃত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ধান, শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য ফসলের পোকা-রোগ দমনে মাত্রাতিরিক্ত বালাইনাশক এবং কাঁচা ফল পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথোপেন ও রাইপেন ব্যবহার করা হয়। লক্ষণীয় বিষয় হলো সবজি-ফল মাঠে থাকা অবস্থায় পোকা-রোগ দমনে মাত্রাতিরিক্ত বালাইনাশক, সংগ্রহোত্তর পাকার জন্য কার্বাইড এবং পচনরোধের জন্য ফরমালিন ব্যবহারের কারণে এসব ফসল বিষটোপে পরিণত হয়। তাই এগুলো খাওয়ার সঙ্গে কিছু পরিমাণ বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
ভেজাল ও বিষযুক্ত খাদ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে এসডিজি গ্রহণের দুই বছর পূর্বেই নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বণ্টনকে সুনিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে। এই আইন প্রয়োগ করার কারণে বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল, ভেজাল পণ্য সংরক্ষণে ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। এ আইনের সাফল্যকে আরো বেশি টেকসই ও বিস্তৃত করতে সরকার ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এ আইন অনুযায়ী ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘সফলভাবে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, গুদামজাতকরণ, বিতরণ এবং বিপণন প্রক্রিয়ায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন এবং বিক্রয় প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কার্যাবলির সমন্বয় সাধন করে থাকে’ (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট)।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের প্রতি শতভাগ মনোযোগী হয়ে স্বল্প জমিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদনের মত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কৃষিতে বীজ, সার, সেচ ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে চলেছে বিএডিসি। নিরাপদ খাদ্যের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে নতুন, উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদনের পূর্বে বিএডিসি দীর্ঘ গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও ফল নিরীক্ষণ করে থাকে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে নিরাপদ কৃষির আওতায় এই দেশের ভূমির অনুকূল, অধিক উৎপাদনসক্ষম বীজ সরবরাহ করে বিএডিসি।
বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার রপ্তানিযোগ্য ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং কার্যকর বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। নিরাপদ সবজি উৎপাদনের বিষয়টি অন্যান্য কৃষি উৎপাদনের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সবজি ফসল বিভিন্ন রোগ ও কীট পতঙ্গ দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয়। তাই উৎপাদন পর্যায়ে কৃষক অতিমাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার এবং নিরাপদ সময়ের আগেই তা বাজারজাত করে। অনেক সবজিই কাঁচা বা অল্প রান্নায় খাওয়া হয় বলে মানবদেহে বিষাক্ত খাবারের প্রভাব পড়ে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিবেগুনি রশ্মি, ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ হতে ফসলকে রক্ষা করে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতিতে সেচ এর ব্যবস্থা করে এবং সারা বছর অর্থাৎ ৩ (তিন) মৌসুমেই নিরাপদ ও রপ্তানিযোগ্য সবজি ও ফুল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পলি হাউজে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফগার ইরিগেশনের মাধ্যমে সবজি ও ফুলের অতি ক্ষুদ্রাকারে (কুয়াশাসদৃশ্য) সেচ প্রয়োগে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে গুণগতমান অক্ষুন্ন রাখা হচ্ছে। ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে নিরাপদ সবজি ও ফুল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈবসারের ব্যবহার-কম্পোস্ট সার, কেঁচো কম্পোস্ট, কুইক কম্পোস্ট-সার ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মাটি পরীক্ষা করে জমিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার নিয়ম মোতাবেক প্রয়োগ করা, ইউরিয়া সারের প্রয়োগ কমিয়ে ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ানো, ফসল উৎপাদনে আইপিএম কৌশল-জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা-ভেষজ বালাইনাশক ব্যবহার, উপকারি পোকামাকড় সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিকরণ, আইল ফসল চাষাবাদ; বালাই সহনশীল জাত ব্যবহার করা; আধুনিক কৃষি চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা যেমন ভালো বীজ ব্যবহার, বীজ শোধন. আদর্শ বীজতলা তৈরি, মাটি শোধন করা. সেক্স ফেরোমন ট্রেপ ও বিষটোপ ব্যবহার, সার ব্যবস্থাপনা, আগাছা ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, সঠিক সময়ে ফসল মাড়াই করা এসব; যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা যেমন হাত জাল, আলোক ফাঁদ এসব মেনে চলা, অবশেষে বালাইনাশকের যুক্তিসম্মত ব্যবহার অর্থাৎ সঠিক বালাইনাশক নির্বাচন, সঠিক মাত্রায় সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বালাইনাশক স্প্রে করা উচিত। এতে ফসলে ক্ষতির রাসায়নিক সার/কীটনাশকের প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিএডিসি এ সকল কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে, যা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোরালো ভূমিকা পালন করছে।
দেশের জনগণের দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার টেকসই রূপ দিতে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএডিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরব, তিউনিশিয়া, মরক্কো, বেলারুশ, রাশিয়া ও কানাডা হতে নন-নাইট্রোজেনাস সার আমদানি এবং সেচ এলাকা সম্প্রসারণের মাধ্যমে পতিত জমি আবাদি জমিতে রূপান্তরিত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এই করোনা মহামারীতে বিশে^র অনেক দেশ ও জাতি তার জনপদের খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ হয়েছে বা হিমশিম খেয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম। খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের বাইরে খাদ্য রপ্তানিও করেছে বাংলাদেশ। বিএডিসির ডায়মন্ড জাতের আলু রপ্তানি হচ্ছে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে। দেশ থেকে সবজি যাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি’র নির্দেশে কৃষিখাতকে আধুনিকায়ন ও কৃষকপর্যায়ে কৃষিবিষয়ক উপকরণসমূহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থাগুলো দক্ষতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়ায় বদলে গেছে বাংলার কৃষির চেহারা। বাংলাদেশ তাই এখন দানাদার শস্য ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ। প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিধান, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিএডিসি’র আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বিশ্¦ খাদ্য দিবসে প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজ নিরলস শ্রম দিয়ে যাবে। সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ হবে খাদ্যে পরিপূর্ণ আমাদের প্রিয় স্বদেশ, পরম ভালোবাসার জন্মভূমি।
লেখক : চেয়ারম্যান (গ্রেড-১), বিএডিসি। ফোন : ২২৩৩৮৪৩৫৮, ই-মেইল : chairman@badc.gov.bd